চিনির আজকের বাজার দর | লাল চিনির বর্তমান দাম ২০২৩

চিনির আজকের বাজার দর – চিনি হলো একটি মিষ্টি খাদ্যপণ্য যা সাধারণত খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত আখ, ভুট্টা, বা ক্যানাবিনাস স্যাটিভা গাছের রস থেকে তৈরি করা হয়। চিনি একটি জটিল শর্করা যা মনোস্যাকারাইড সুক্রোজের সমন্বয়ে গঠিত। সুক্রোজ একটি ডিস্যাকারাইড যা গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজের সমন্বয়ে গঠিত।

চিনি একটি জনপ্রিয় খাদ্যপণ্য যা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ধরণের খাবারে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত মিষ্টি খাবার, যেমন কেক, কুকিজ, এবং আইসক্রিমে ব্যবহৃত হয়। এটি পানীয়, যেমন চা এবং কফিতেও ব্যবহৃত হয়। চিনি কিছু খাবারে স্বাদ এবং গঠন যোগ করতেও ব্যবহৃত হয়, যেমন সস এবং মাংসের খাবারে।

আরো পড়ুন – বর্তমানে গ্যাসের চুলার দাম কত

  বসুন্ধরা গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১২ কেজি

স্যাভলন কিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়

ডাভ সাবান মুখে মাখলে কি হয

আজকের পুরাতন স্বর্ণের দাম কত বাংলাদেশে

bsrm রডের আজকের দাম

লাইফবয় সাবান দাম ২০২৩

ডাভ সাবান এর দাম বাংলাদেশ

চিনির আজকের বাজার দর

চিনির আজকের বাজার দর

২০২৩ সালে বাংলাদেশে চিনির বাজার দর নিম্নরূপ:

খোলা বাজারে চিনির দাম প্রতি কেজি ১৫০-১৫২ টাকা।
পাইকারি বাজারে চিনির দাম প্রতি কেজি ১৪৮-১৫০ টাকা।
আমদানিকারকদের কাছ থেকে চিনির দাম প্রতি কেজি ১৪৬-১৪৮ টাকা।

গত এক বছরে বাংলাদেশে চিনির দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। ২০২২ সালের জুন মাসে চিনির দাম ছিল প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৮৪ টাকা।

চিনির দাম বাড়ার পেছনে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়া, ডলারের বিনিময় মূল্য বৃদ্ধি এবং আমদানিতে শুল্ককে দায়ী করা হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম কমলে দেশেও দাম কমানো হবে।

ফ্রেশ চিনি ১ কেজি দাম

২০২৩ সালের ৩ অক্টোবরের হিসাবে, ফ্রেশ চিনি ১ কেজির দাম বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন শপ এবং হাটবাজারে ১৩৫ টাকা থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে। তবে, নির্দিষ্ট এলাকা এবং বিক্রেতার উপর নির্ভর করে দাম কিছুটা কম বা বেশি হতে পারে।

ফ্রেশ চিনি একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের চিনি যা তার উচ্চ মানের জন্য পরিচিত। এই চিনিটি আধুনিক প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে তৈরি করা হয় যা এটিকে পরিষ্কার, স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু করে তোলে।

ফ্রেশ চিনির ১ কেজির দামের কিছু উদাহরণ নিম্নরূপ:

  1. চালডাল.কম: ১৩৫ টাকা
  2. দারাজ: ১৩৫ টাকা
  3. ফ্রেশ বাজার্: ১৪০ টাকা

আপনি যদি ফ্রেশ চিনি কিনতে চান তবে আপনার নিকটস্থ হাটবাজার বা অনলাইন শপ থেকে এটি কিনতে পারেন।

সাদা চিনির দাম

২০২৩ সালের ৩ অক্টোবরের হিসাবে, সাদা চিনির দাম বাংলাদেশের বিভিন্ন অনলাইন শপ এবং হাটবাজারে কেজি প্রতি ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে। তবে, নির্দিষ্ট এলাকা এবং বিক্রেতার উপর নির্ভর করে দাম কিছুটা কম বা বেশি হতে পারে।

সাদা চিনি হল সবচেয়ে সাধারণ ধরণের চিনি যা খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত আখ বা বেত থেকে তৈরি করা হয় এবং এটি একটি সাদা, দানাদার পদার্থ। সাদা চিনিতে ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে, তবে এটিতে ভিটামিন বা খনিজ কম থাকে।

সাদা চিনির দামের কিছু উদাহরণ নিম্নরূপ:

  • চালডাল.কম: ১৩০ টাকা
  • দারাজ: ১৩৫ টাকা
  • ফ্রেশ বাজার্: ১৪০ টাকা

আপনি যদি সাদা চিনি কিনতে চান তবে আপনার নিকটস্থ হাটবাজার বা অনলাইন শপ থেকে এটি কিনতে পারেন।

এখানে বিভিন্ন ধরনের সাদা চিনির দাম দেওয়া হল:

আখের চিনি: কেজি প্রতি ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা
বেত চিনি: কেজি প্রতি ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা
জাফরান চিনি: কেজি প্রতি ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা
পুষ্টিকর চিনি: কেজি প্রতি ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা

আপনার প্রয়োজনের জন্য কোন ধরণের সাদা চিনি সবচেয়ে ভালো তা নির্ধারণ করার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরণের সাদা চিনির বৈশিষ্ট্যগুলি তুলনা করতে পারেন।

লাল চিনির বর্তমান দাম ২০২৩

২০২৩ সালের ১০ই অক্টোবর, বাংলাদেশে লাল চিনির বর্তমান দাম প্রতি কেজি ১৫০ টাকা। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৫% বেশি। লাল চিনির দাম বৃদ্ধির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধি এবং সরবরাহের সঙ্কট।

বাংলাদেশে লাল চিনি মূলত আখ থেকে উৎপাদিত হয়। দেশে আখের উৎপাদন কমে যাওয়ায় লাল চিনির দাম বাড়ছে। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের আমদানিকৃত চিনির দামও বেড়েছে। ফলে লাল চিনির দামও বাড়ছে।

বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ফলে আখের চাষ ও পরিবহনের খরচ বেড়েছে। এছাড়াও, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ফলে চিনির দামও বেড়েছে। ফলে বাংলাদেশের লাল চিনির দাম বাড়ছে।

সরবরাহের সঙ্কটও লাল চিনির দাম বৃদ্ধির একটি কারণ। আখের উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের লাল চিনির সরবরাহ কমে গেছে। ফলে লাল চিনির দাম বাড়ছে।

বাংলাদেশ সরকার লাল চিনির দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আমদানিকৃত চিনির ওপর শুল্ক বৃদ্ধি এবং আখের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রণোদনা প্রদান। তবে এসব পদক্ষেপ এখনও পর্যন্ত লাল চিনির দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে পারেনি।

ভারতে চিনির দাম কত

২০২৩ সালের ১০ই অক্টোবর, ভারতে চিনির দাম প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৫% বেশি। চিনির দাম বৃদ্ধির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আখের ফলন কমে যাওয়া, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধি এবং ভারতের চিনি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা।

ভারতে চিনি মূলত আখ থেকে উৎপাদিত হয়। ২০২২-২৩ মৌসুমে ভারতে চিনির উৎপাদন ৩ কোটি ১৭ লাখ টন, যা গত বছরের তুলনায় ১৪% কম। বৈরী আবহাওয়ার কারণে আখের ফলন কমে যাওয়াই এর প্রধান কারণ।

আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম প্রতি কেজি ১,২৭০ মার্কিন ডলারে উঠেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮% বেশি।

ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি উৎপাদক দেশ। তবে ২০২৩-২৪ মৌসুমে দেশটির চিনি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এটিও ভারতে চিনির দাম বৃদ্ধির একটি কারণ।

ভারত সরকার চিনির দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আমদানিকৃত চিনির ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব এবং আখের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রণোদনা প্রদান। তবে এসব পদক্ষেপ এখনও পর্যন্ত চিনির দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে পারেনি।

চিনি দাম বৃদ্ধির ফলে ভারতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে।

কলকাতায় চিনির দাম কত

২০২৩ সালের ১০ই অক্টোবর, কলকাতায় চিনির দাম প্রতি কেজি ৪৭ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৫% বেশি। চিনির দাম বৃদ্ধির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আখের ফলন কমে যাওয়া, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধি এবং ভারতের চিনি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা।

কলকাতায় চিনির দাম নিম্নরূপ:

খোলা চিনি: প্রতি কেজি ৪৭ থেকে ৫০ টাকা
প্যাকেটজাত চিনি: প্রতি কেজি ৪৮ থেকে ৫১ টাকা

কলকাতায় চিনির দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য ভারত সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আমদানিকৃত চিনির ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব এবং আখের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রণোদনা প্রদান। তবে এসব পদক্ষেপ এখনও পর্যন্ত চিনির দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে পারেনি।

চিনি দাম বৃদ্ধির ফলে কলকাতার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে।

পাকিস্তান চিনির দাম কত ২০২৩

২০২৩ সালের ১০ই অক্টোবর, পাকিস্তানে চিনির দাম প্রতি কেজি ১৫৫ পাকিস্তানি রুপি। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৫০% বেশি। চিনির দাম বৃদ্ধির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধি, সরবরাহের সঙ্কট এবং পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট।

পাকিস্তানে চিনি মূলত আখ থেকে উৎপাদিত হয়। তবে ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশে চিনির উৎপাদন কমে গেছে। এর ফলে আমদানিকৃত চিনির উপর নির্ভরতা বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধির ফলে আমদানিকৃত চিনির দামও বেড়েছে। ফলে পাকিস্তানে চিনির দামও বাড়ছে।

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটও চিনির দাম বৃদ্ধির একটি কারণ। পাকিস্তানের মুদ্রার অবমূল্যায়নের ফলে আমদানিকৃত চিনির দাম আরও বেড়েছে। ফলে পাকিস্তানে চিনির দামও বাড়ছে।

পাকিস্তান সরকার চিনির দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আমদানিকৃত চিনির ওপর শুল্ক বৃদ্ধি এবং আখের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রণোদনা প্রদান। তবে এসব পদক্ষেপ এখনও পর্যন্ত চিনির দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে পারেনি।

চিনি দাম বৃদ্ধির ফলে পাকিস্তানে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম

২০২৩ সালের ১০ই অক্টোবর, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম প্রতি টন ৬৭৩ মার্কিন ডলার। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২২% বেশি। চিনির দাম বৃদ্ধির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আখের ফলন কমে যাওয়া, সরবরাহের সঙ্কট এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা।

আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধি বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির একটি কারণ। চিনি একটি মৌলিক খাদ্যপণ্য এবং এর দাম বৃদ্ধির ফলে বিশ্বব্যাপী জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আমদানিকৃত চিনির ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব এবং আখের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রণোদনা প্রদান। তবে এসব পদক্ষেপ এখনও পর্যন্ত চিনির দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে পারেনি।

আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বৃদ্ধির কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ:

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আখের ফলন কমে যাওয়া: ২০২২-২৩ মৌসুমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আখের ফলন কমে গেছে। এর ফলে চিনির সরবরাহ কমে গেছে এবং দাম বেড়েছে।

সরবরাহের সঙ্কট: চিনির প্রধান উৎপাদনকারী দেশগুলিতে সরবরাহের সঙ্কটও চিনির দাম বৃদ্ধির একটি কারণ।

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা: বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কাও চিনির দাম বৃদ্ধির একটি কারণ।

অর্থনৈতিক মন্দার ফলে চিনির চাহিদা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে, চিনির দাম বৃদ্ধি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার একটি কারণও হতে পারে।

চিনির দাম বৃদ্ধির ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির একটি কারণ। চিনি একটি মৌলিক খাদ্যপণ্য এবং এর দাম বৃদ্ধির ফলে বিশ্বব্যাপী জনগণের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে।

 

উপসংহার : চিনির স্বাস্থ্যগত প্রভাবগুলি বিতর্কিত। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে চিনি অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, এবং হৃদরোগ সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সাথে যুক্ত। অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে যে চিনি মাঝারি পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

Leave a Comment